সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবাদক :ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের খাগাটি জামতলি এলাকার আব্দুল কাদের জিলানীকে হত্যার প্রতিবাদে দ্রুত বিচার ও জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।
আজ (১৫ এপ্রিল) সোমবার বিকেলে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক সাইনবোর্ড এলাকায় মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য লাল মিয়া, এলাকাবাসী ও জিলানীর পরিবার উপস্থিত ছিলেন। ইউপি সদস্য লালমিয়া বলেন, আব্দুল কাদের জিলানী সামাজিক লোক ছিল সবসময় এলাকায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো সমাজের খারাপ শ্রেণীর লোকেরা এটা মেনে নিতে পারতো না তাই তাকে মেরে ফেলার জন্য এর আগেও কয়েকবার হামলা করেছে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে বাড়ি ঘর ভেঙ্গে এলাকা ছাড়া করেছে। গত শবে কদর রাতে জিলানী তার পিতা কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিল এই সুযোগে মামুন ও সোহাগ বাহিনী গাড়ি থেকে হেচরিয়ে নামিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
জিলানীর ছেলে রাকিব কন্দনরত অবস্থায় বলেন, আমার পিতার সাথে আমি ছিলাম মামুন ও সোহাগ বাহিনী আমার পিতাকে আমার কাছথেকে টেনে হেচরে নামিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমি ফিড়াতে গেলে ওরা আমার উপরে আক্রমণ করেছে। একই এলাকার বাসিন্দা রহিমা খাতুন বলেন, জিলানী খুব ভালো মানুষ ছিল সমাজের সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো, খারাপ লোকেরা এটা জিলানীকে ফাঁসানোর জন্য অতীতে নানা ধরনের চক্রান্ত করে এসেছিল, অবশেষে শবেকদর রাত্রে তার পিতার কবর জিয়ারত করতে আসলে মামুন সোহাগ বাহিনী তাকে নির্মমভাবে খুন করে।
বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধনে থাকা সালমা আক্তার বলেন, জিলানী অনেক ভালো মানুষ ছিল, সে সব সময় গরীব দুঃখী মানুষের কাছে এগিয়ে যেত।
সমাজেরই এই খারাপ শ্রেণীর লোকেরা যাতে বিনা বাঁধায় খারাপি করতে পারে সেই জন্য জ্বিলানির উপর বারবার আক্রমণ করে আসছিল, নানা ধরনের চক্রান্ত করে জালানি কে প্রথমে এলাকা ছাড়া করেছে পরে শেষে শবে কদর রাত্রে বাড়ির পাশে মামুন ও সোহাগ বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানাচ্ছি। জিলানীর কিশোরী মেয়ে, মিম আক্তার বলেন, ওদের অত্যাচার আমি লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছি। আমি স্কুলে গেলে তারা স্কুলে যাওয়ার পথে বাঁধা প্রয়োগ করতো অবশেষে আমার পিতাকে তারা নিজেদের নির্মমভাবে হত্যা করে আমি এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানাচ্ছি।
মানববন্ধন শেষ বিচার প্রার্থীরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক পাঁচ মিনিট অবরোধ করে রাখে পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত আসামি ধরার আশ্বাস দিলে ভিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।